Logo
Logo
×

আইন-আদালত

শেখ হাসিনার রায়ের দিন নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২১ এএম

শেখ হাসিনার রায়ের দিন নির্ধারণকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের রায়ের দিন নির্ধারণ ঘিরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বরে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। আদালত ও আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে বহিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। প্রবেশপথে তল্লাশির পরই সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, রায়ের তারিখকে ঘিরে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা উসকানিমূলক পরিস্থিতি এড়াতে বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুরো এলাকাজুড়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে যাতে আদালতের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।

সকাল ১০টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

গত ২৩ অক্টোবর মামলাটির চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতাদের বিচারের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ দণ্ড দাবি করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং আসামিপক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক শেষে ট্রাইব্যুনাল আজকের দিনটিকে রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য নির্ধারণ করে।

মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। প্রসিকিউশন তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিয়েছে, যদিও তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ খালাসের আবেদন করেছেন। ফলে রায় ঘোষণার দিনেই জানা যাবে—তিনি মুক্তি পাচ্ছেন নাকি অন্য ফলাফলের মুখোমুখি হচ্ছেন।

এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ—উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যাকাণ্ড ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র রয়েছে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা, আর শহীদদের তালিকা ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে মোট ৮৪ জনকে। গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় চিফ প্রসিকিউটরের কাছে।

এদিকে, শেখ হাসিনার রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে আগুন ও বিস্ফোরক হামলার প্রস্তুতির অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতেও তারা কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন না।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন