তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের আপিলের পঞ্চম দিনের শুনানি চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আপিলের পঞ্চম দিনের শুনানি চলছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের শুনানি শেষ হয়, যেখানে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত ২৩ অক্টোবর তৃতীয় দিনের শুনানিতে ইন্টারভেনর হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। তার আগের দিন ২২ অক্টোবর রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। ২১ অক্টোবর এই মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। এরপর সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মোট পাঁচজন আপিল করেন।
উল্লেখ্য, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয় ১৯৯৬ সালে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন হাইকোর্টে রিট করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বৈধ।
তবে ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ওই সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রায়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৬ অক্টোবর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গত বছরের ২৩ অক্টোবর একই ধরনের আবেদন দাখিল করেন।



