তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল চেয়ে আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৬ এএম
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আজ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে ২৩ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ইন্টারভেনর হিসেবে বক্তব্য দেন। দ্বিতীয় দিনের শুনানি (২২ অক্টোবর) শেষে রিটকারী ড. বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২১ অক্টোবর।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মোট পাঁচজন আপিল করেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয় ১৯৯৬ সালে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করেন।
তবে ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের অনুমতি নিয়ে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এরপর একই বছরের ৩০ জুন সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস হয়, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।
পরবর্তীতে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এ রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। পরবর্তীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও পৃথকভাবে আবেদন করেন।
এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন ও গত বছর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা দেন।



