Logo
Logo
×

আইন-আদালত

কক্সবাজারে স্টেডিয়ামে তাণ্ডবের ঘটনায় দুই মামলা

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম

কক্সবাজারে স্টেডিয়ামে তাণ্ডবের ঘটনায় দুই মামলা

ছবি-যুগের চিন্তা

কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে তাণ্ডবের ঘটনায় এবার দুইটি মামলা হয়েছে। যার একটি বাদি কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আলাউদ্দিন এবং অপরটির বাদি কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই রাজীব পাল।

রবিবার দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এই মামলা দুইটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত ফারুক হোসেন।

তিনি জানান, স্টেডিয়ামে ভাংচুর, আগুন দেয়াসহ তাণ্ডব চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় ক্রীড়ার সংস্থার পক্ষে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা বাদি হয়ে দায়ের করা মামলার এজাহারে দুই জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে ৭০০ জনকে। নাম উল্লেখ করে আসামিরা হলেন, টিকেটের ইজারাদার ইব্র্রাহিম বাবু ও মুন্না। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় আসামি অজ্ঞাত এবং সংখ্যা উল্লেখ নেই।

কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলার ছিল শুক্রবার। রামু ও টেকনাফ উপজেলা একাদশের মধ্যে বেলা ৩ টায় ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৭ টা থেকে স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকেট সংগ্রহ শুরু করেছে দর্শকরা। এই টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও দর্শকের উপস্থিত দেখে ক্রমাগত বাড়তে থাকে। দুপুরে ২ টা পর্যন্ত আয়োজক কমিটির অতিরিক্ত মূল্যে ধারণ ক্ষমতার ৬ গুণ টিকেট বিক্রি করে দেয়।

 

এতে অসংখ্য দর্শক টিকেট কেটে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পারায় উত্তেজিত হয়ে উঠে। অতিরিক্ত দর্শক গ্যালোরিতে বসার স্থান না পেয়ে গেইট ভেঙে আড়াই টার দিকে দর্শক পুরো মাঠ দখল করে নেন। এর কারণে মাঠে খেলা পরিচালনার সুযোগ না হওয়ায় আয়োজকসহ পুলিশ ও র্যাব, সেনা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু দফায় দফায় চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

এর মধ্যে স্টেডিয়ামে প্রবেশে ব্যর্থ দর্শকরা স্টেডিয়ামের বাইর থেকে ভবনে ভাংচুর শুরু করে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এর মধ্যে বিকাল ৫ টা ১৫ মিনিটের দেখা মাঠ থাকা দর্শকদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী লাঠি চার্জ করে বের করে দিতে সক্ষম হয়। এর পর মাঠে খেলা পরিচালনার প্রস্তুতি নিলেও গ্যালোরিতে দর্শক ও বাইরের দর্শকরা এক যোগে হামলা করে গ্যালোরি, মাঠ, প্রেস বক্স সহ সব কিছু ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।  

এতে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, পুলিশের ৩ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে ফাইনাল খেলা স্থগিত ঘোষণা করে আয়োজক কমিটি।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের ‘বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম’ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন শাহীন সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন ভাংচুরের পাশাপাশি যে তান্ডব চালিয়েছে তা তদন্তে প্রশাসন দুইটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন