সামরিক বা ফৌজদারি আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্ভব নয়
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
ছবি-সংগৃহীত
সশস্ত্র বাহিনীর কোনো সদস্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করলে তার বিচার শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হবে। এ ধরণের অপরাধের বিচার কোনো অভ্যন্তরীণ সামরিক আদালত বা দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আদালতেও সম্ভব নয়।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে আশুলিয়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২-এ সূচনা বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর।
এ সময় ট্রাইব্যুনালে প্রশ্ন ছিল, ডিফেন্সের (সশস্ত্র বাহিনী) উচ্চ পদে যাঁরা রয়েছেন, তাদের বিচার এই ট্রাইব্যুনালে হবে, নাকি অন্য কোনো আদালতে হবে?
জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর বিভিন্ন ধারা-উপধারা তুলে ধরে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এই বিতর্ক অহেতুক। মূলত আইনটি তৈরিই করা হয়েছিল এ অপরাধে যুক্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিচার করার জন্য। এর মধ্যে আইনটি সংশোধন করে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।’
পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই আইন এতটাই স্পষ্ট যে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিচার করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই।
আইনের প্রতিটি ধারা-উপধারায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, এই আইন আর্মড ও অক্সিলিয়ারি ফোর্সের (সশস্ত্র ও সহযোগী বাহিনীর) বিচারের জন্য।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী, যেমন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন অংশ—এদের মাধ্যমে সংঘটিত ওয়াইড স্প্রেড (বিস্তৃত পরিসরে) এবং সিস্টেমেটিক (পদ্ধতিগতভাবে) সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার একমাত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনেই হতে পারে, অন্য কোথাও নয়। সেটা (মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার) কোনো অভ্যন্তরীণ সামরিক আদালতে নয়, বাংলাদেশে প্রচলিত যেসব ফৌজদারি আদালত রয়েছে, সেখানেও এটা করা সম্ভব নয়। এ আইনটি খুবই সুস্পষ্ট।



