রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে ফের আপিল শুনবেন সর্বোচ্চ আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:১৪ এএম
ফাইল ফটো
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আগামী ৪ নভেম্বর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। ৬৯ আইনজীবীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
মামলার গুরুত্ব বিবেচনায় আদালত পুনরায় আপিল শুনতে সম্মত হয়েছেন বলে জানান আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। এরও আগে ২৭ এপ্রিল থেকে শুনানি শুরু হয়েছিল। ৯ জানুয়ারি জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করে।
২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রায় দেন, যা প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। ওই রায়ে বলা হয়—
১. রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে শীর্ষে রাখতে হবে।
২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচারকদের ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত করে ১৬ নম্বরে, সচিবদের সমমর্যাদায় স্থান দেওয়া হবে।
৩. অতিরিক্ত জেলা জজদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, অর্থাৎ ১৭ নম্বরে।
রায়ে আরও স্পষ্ট করা হয়, পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা যাবে; নীতি নির্ধারণ বা প্রশাসনিক কার্যক্রমে নয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সরকার ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে, যা ২০০০ সালে সংশোধিত হয়। ওই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন হাইকোর্টে রিট করে। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছিল।



