মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা
শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৯ এএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে বুধবার (২০ আগস্ট) ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।
এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি দেন— শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল ও রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন। জবানবন্দি শেষে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।
মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি হলেও তিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। এ পর্যন্ত ১২ জন সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১৭ আগস্ট সাক্ষ্য দেন চারজন— সবজি বিক্রেতা আব্দুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার ও শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম। ৬ আগস্ট সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। এর আগে ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন পঙ্গু শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন। মামলার প্রথম সাক্ষী ছিলেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তিন আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন। প্রসিকিউশন মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনেছে। ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার এই অভিযোগপত্রে রয়েছে— তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়েছে মোট ৮১ জনকে।
১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এ অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয়।



