১৮ বছর আগে বরখাস্ত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। রায়ে চাকরি হারানো কর্মকর্তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ উল্লেখ করেছে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা ছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম ক্ষমতার ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ।

সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে একটি আপিল ও চারটি পৃথক রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত আসে।

২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয়।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পুনর্বহালের ট্রাইব্যুনাল রায় বাতিল করেছিল আপিল বিভাগ। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে বরখাস্ত কর্মকর্তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে একটি আপিল ও চারটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন, প্রবীর নিয়োগী ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং আইনজীবী মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

এর আগে, ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ৮৫ জন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর ২৫ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি সেই রায় স্থগিত করে নিয়মিত আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে বলেন। পরে ১২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের আপিল গ্রহণ করেন।