অর্থ পাচার মামলায় জি কে শামীমের খালাস স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ঠিকাদার ও সাবেক যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের অর্থ পাচার মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া খালাসের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার (১৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।
এর আগে গত ৭ আগস্ট অর্থ পাচার আইনের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে জি কে শামীমকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মবিন ও বিচারপতি জাবিদ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড এবং মোট ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধ না করলে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের বিধানও রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীরা কোনো আদর্শ লালন করে না। বরং আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলে, যা দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে। তারা দেশ ও জাতির শত্রু, যাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।”
এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম, যার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট তাকে খালাস দেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ সেই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ আটজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর মামলার বিচার শুরু হয়।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে জি কে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ নগদ টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।



