জুলাই গণহত্যা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রোববার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
জুলাই গণঅভ্যুত্থনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে রোববার (৩ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম শনিবার সমকালকে জানান, এদিন রাষ্ট্রপক্ষ মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবে এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। ট্রাইব্যুনালের অনুমতি সাপেক্ষে বিচার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা হতে পারে। এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থনের কোনো মামলায় প্রথম বিচার কার্যক্রমের সূচনা।
মামলার তিন আসামির মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ‘রাজসাক্ষী’ হওয়ার আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন দায়িত্ব পালন করছেন। মামুনের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের জন্য ৩ আগস্ট এবং সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়। মামলায় সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা, জাতীয় দৈনিকের এক সম্পাদকসহ মোট ৮১ জন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দাখিল করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রায় দেড় হাজার মানুষকে হত্যার উসকানি, নির্দেশ এবং ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ ও ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’-এর মাধ্যমে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়া আন্দোলনকারীদের ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ সংক্রান্ত শেখ হাসিনার অডিও রেকর্ডসহ বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অভিযোগ দাখিলের ৬ মাস ২৮ দিন পর তদন্ত শেষে গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা মামলার প্রতিবেদন প্রসিকিউশন কার্যালয়ে জমা দেয়। ১ জুন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
শেখ হাসিনা আদালতে অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে পলাতক অবস্থায়।



