চাঁদাবাজির মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ জন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদসহ চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে আদালত। অপর তিন আসামি—সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে গুলশান থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান প্রত্যেক আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন শামসুদ্দোহা সুমন, এবং বিএনপিপন্থি কয়েকজন আইনজীবীও রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। আসামিপক্ষ জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে রিমান্ড আদেশ দেন।
চাঁদাবাজির ঘটনায় সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় মামলা করেন, যেখানে মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, কাজী গৌরব অপু, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, ইব্রাহিম হোসেন এবং আইনের সংঘাতে জড়িত শিশু আমিনুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৭ জুলাই সকালে আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তারা রাজনৈতিক হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের চাপ দিতে থাকেন। পরে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর ১০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন। এর কয়েকদিন পর পুনরায় ওই বাসায় গিয়ে আরও ৪০ লাখ টাকা না দিলে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
ঘটনার পর ২৬ জুলাই গুলশান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ আসামিকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় অভিযুক্ত কাজী গৌরব অপু পালিয়ে যান।
এই চাঁদাবাজির অভিযোগ ঘিরে রাজধানীতে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা চলছে, আর মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসছে নতুন তথ্য।



