পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এই মামলা পরিসমাপ্তি করা হয়। গত জানুয়ারিতে শুরু হওয়া অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।

তিনি বলেন, গায়ের জোরেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় আসামির অব্যাহতির পেছনে তৎকালীন কমিশনের দায় আছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নতুন তদন্তে কারো সংশ্লিষ্টতা মিললে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা যায়, ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেছিল দুদক। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে মামলাটির পরিসমাপ্তি করেন তৎকালীন বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশন।

আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পর গত জানুয়ারিতে পদ্মা সেতুতে পরামর্শক নিয়োগের সেই মামলা পুনরায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। নতুন অনুসন্ধানে মিলতে শুরু করেছে নানা তথ্য-উপাত্ত। ইতোমধ্যে তৎকালীন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টদের নথিপত্রগুলো দুদক এখন পর্যালোচনা করে দেখছে বলে জানা যায়।