
প্রিন্ট: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম
কক্সবাজারে শিশু আইন নিয়ে সুরক্ষা কর্মশালা

কক্সবাজার প্রতিবেদক :
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম

ছবি-যুগের চিন্তা
কক্সবাজারে শিশু আইন ২০১৩ এর আলোকে “শিশুদের আইনি অধিকার: অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পরবর্তী করণীয়” বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
স্থানীয় একটি হোটেলে সেভ দ্য চিলড্রেন এর আয়োজনে শিশু সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার খাতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত এই কর্মশালায় শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জ, অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি এবং সেশন ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মজিদ, উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ এবং সহকারী জজরা, বাংলাদেশ পুলিশের চাইল্ড অ্যাফেয়ার্স অফিসার, সমাজসেবা অধিদফতরের প্রবেশন অফিসার, যা বহুমাত্রিক সহযোগিতার গুরুত্বকে তুলে ধরে।
কর্মশালায় কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মজিদ বলেন, “শিশুদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতে শিশু আইন ২০১৩ একটি দৃঢ় ভিত্তি। কিন্তু এটি তখনই কার্যকর হবে, যখন মাঠপর্যায়ে আন্তরিকভাবে বাস্তবায়িত হবে।” তিনি আরও বলেন, “শুধু আইন থাকলেই হবে না- এর সঠিক বাস্তবায়নই আসল চাবিকাঠি। শিশুদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল। আইন যেন তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়,সেটিই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা শিশুদের মামলার পরিচালনায় তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তারা বিচার বিলম্ব,সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি, শিশু-সংবেদনশীলতা বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা এবং জাতীয় নীতিমালার সঙ্গে কাজের সামঞ্জস্য নিয়ে আলোচনা করেন।
এই সময় সেভ দ্য চিলড্রেন সরকার ও বিচার বিভাগের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি আরও কার্যকর, সমন্বিত ও শিশু-বান্ধব ন্যায়বিচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
কর্মশালায় উপস্থিত সেভ দ্য চিলড্রেন এর সিনিয়র ম্যানেজার-শিশু সুরক্ষা ফিরোজ মোস্তফা বলেন, “শিশুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের প্রয়োজন অধিকারভিত্তিক একটি কার্যকর পদ্ধতি। পারস্পরিক সহযোগিতা ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের মাধ্যমেই আমরা কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন এনে দিতে পারি।”
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা শিশুদের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ও বিচারিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।