বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৪ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী। তবে তাদের বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলকে একটি সফটওয়্যার তৈরি করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

মাউশির একটি সূত্র জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে বদলি কার্যক্রম এতদিন ছিল না। বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী বদলির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার তৈরির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে সফটওয়্যার তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। সফটওয়্যার তৈরি হয়ে গেলে, বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে এবং এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা বলেন, আনুষ্ঠানিক বদলি কার্যক্রম না থাকায়, যখন একজন শিক্ষক এক স্কুল বা কলেজ থেকে অন্য স্কুলে বা কলেজে বদলি হন, তখন তার বেতন বন্ধ থাকে। বদলির পর ওই স্কুলে যাওয়ার নানা ধাপ পার হয়ে আবেদনের পর তার বেতন পুনরায় চালু হয়। কিন্তু সফটওয়্যার সিস্টেম চালু হলে এ ভোগান্তি অনেকটা কমে যাবে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এখনো পর্যন্ত শিক্ষক বদলি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানায় মাউশি।