বিএমইউ চিকিৎসকদের অননুমোদিত ওষুধ লেখায় শাস্তির বিধান প্রণয়নের সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদনবিহীন ও নিবন্ধনহীন ওষুধ তাঁদের প্রেসক্রিপশনে লিখে আসছিলেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিএমইউ প্রশাসন।
কমিটির সদস্যরা হলেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন ও উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর কয়েকজন চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রেসক্রিপশনে কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম লেখার ক্ষেত্রে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে—তা নির্ধারণ করে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি।
এ ছাড়া বিদেশ থেকে আমদানি করা ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার পণ্য ডিজিডিএ এবং বিএসটিআই কীভাবে যাচাই ও অনুমোদন দেয়, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজলভ্য। তাই চিকিৎসকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আইটি সেকশনের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখার বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।



