চীনা চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশী রোগিদের কাছে পৌছাতে সেমিনার
স্টাফ রিপোর্টার :
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ১১:০২ পিএম
ছবি-যুগের চিন্তা
বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের নতুন দিগন্তের কাছাকাছি বাংলাদেশী একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নাম বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার। এই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে । যাতে চীনের উন্নতমানের চিকিৎসা বাংলাদেশের মানুষ সহজ ও স্বল্পমূল্যে পায়। উন্নতসেবা ও চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে চীনের অনেক নামী-দামী ডাক্তার বাংলাদেশে সেমিনার সিম্পুজিয়াম করেছেন। বিষয়টি বাংলাদেশী রোগিদের দোর-গোরায় পৌছানোন জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবারও বাংলাদেশ-চায়না স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী শীর্ষক একটি সেমিনার করেছে।
বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে রাজধানীর গুলশান-১ এর একটি হোটেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় “বাংলাদেশ-চায়না স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী” শীর্ষক সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে দুই দেশের চিকিৎসা খাতের অগ্রগতি, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
এসময় বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টারের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী কোরবান আলী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মারুফ মোল্লা এক যৌথ বক্তব্যে বলেন, এই আন্তঃদেশীয় আয়োজনের মাধ্যম আমরা চীনের উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবন্ধ। চীনের অংশগ্রহণকারী হাসপাতালগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠাতে আগ্রহী। পাশাপাশি, একাধিক আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশী চিকিৎসকদের জন্য উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কালক্রমে সহযোগিতা বাড়ানোরও অঙ্গীকার করেছেন তারা।
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টারের প্রধান নির্বাহী ডঃ মারুফ মোল্লা আরও বলেন, নি হাও! বাংলাদেশ-চায়না স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনী কেবল একটি প্রদর্শনী নয়। বরং এটি দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতা ও বিনিময়ের এক নতুন অধ্যায়। আমাদের লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশী রোগিদের আরও সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করা।
-68af39f8ac1b8.jpg)
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টারের কনসালটেন্ট ডা. রাশেদুল হাসান রুবেল বলেন, বাংলাদেশ - চীন স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর মূল সাফল্য নির্ভর করছে গণমাধ্যমের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর।
আমরা নারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এমএম জাহিদুর রহমান বিপ্লব বলেন, এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের অংশগ্রহণকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব সহকারে দেখছি। যাতে সাধারণ মানুষ এই সুযোগ সম্পর্কে সচেতন হয় এবং প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে ওঠে। আমরা বিশ্বাস করি, মিডিয়ার সহযোগিতার মাধ্যমেই আমাদের বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবো এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।
সেমিনারে উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, “বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে চীনের অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়। এই সেমিনার বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।”
বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ কেন্দ্র চিকিৎসা সেবায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশি জনগণের স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন, আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতির উন্নয়ন, এবং চিকিৎসকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশি চিকিৎসকরা বলেন, “এই আয়োজনের মাধ্যমে চীনের আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন হবে, যা ভবিষ্যতে মানুষের চিকিৎসা সেবায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।”



