প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ১০টি খাদ্য
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৫, ০৩:০৩ পিএম
বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার একটি অন্যতম সাধারণ স্বাস্থ্যঝুঁকি, বিশেষত ৫০ বছর বয়সের পর। বয়স, বংশগতির পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও এই রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তবে সঠিক খাবার নির্বাচন করলে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রদাহ-বিরোধী উপাদান ও ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ কিছু খাবার কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। নিচে এমন ১০টি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর—
১. টমেটো: লাইকোপিন সমৃদ্ধ টমেটো কোষের ক্ষতি রোধে সহায়ক। রান্না করা টমেটো থেকে এর শোষণ বাড়ে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে আরও ফলদায়ক।
২. ব্রোকলি: সালফোরাফেন সমৃদ্ধ ব্রোকলি ক্যান্সার কোষকে টার্গেট করে এবং দেহের ডিটক্স এনজাইম সক্রিয় করে তোলে।
৩. গ্রিন টি: ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোস্টেট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪. ডালিম: পলিফেনল সমৃদ্ধ এই ফল টিউমারের বিকাশ কমায় এবং কোষের ওপর অক্সিডেটিভ চাপ হ্রাস করে।
৫. চর্বিযুক্ত মাছ: স্যামন, সারডিন বা ম্যাকেরেল মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমিয়ে আক্রমণাত্মক ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৬. সয়া: আইসোফ্লাভোন নামক উদ্ভিদ-ভিত্তিক যৌগ কোষ বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে। সয়া গ্রহণে ঝুঁকি হ্রাস পাওয়া যায়।
৭. ব্রাজিল বাদাম: সেলেনিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস হিসেবে এটি প্রোস্টেট স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। দিনে মাত্র ১-২টি বাদাম যথেষ্ট।
৮. বেরি: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বেরি কোষ মেরামত করে এবং দেহকে ডিটক্স করে।
৯. হলুদ: কারকিউমিন উপাদান প্রদাহ কমিয়ে টিউমারের বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে। কালো মরিচের সঙ্গে গ্রহণে শোষণ আরও বাড়ে।
১০. গোটা শস্য: ফাইবার ও লিগনানসমৃদ্ধ গোটা শস্য হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।



