
প্রিন্ট: ২২ জুন ২০২৫, ১০:০২ এএম
পিএসসি সংস্কারের দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ট্রেন অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৬ এএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সংস্কার এবং ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-ঢাকা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন তারা।
সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএসসি সংস্কার দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে একটি মিছিল বের হয়ে কে. আর. মার্কেট হয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
রাত সাড়ে ৮টায় শিক্ষার্থীরা রেললাইনে অবস্থান নেন এবং অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দেন। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা পিএসসি সংস্কার নিয়ে ৮ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের প্রধান দাবির মধ্যে রয়েছে—৪৬তম বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বহিষ্কার ও শাস্তি নিশ্চিত করা, ৪৬তম বিসিএস বাতিলের গুঞ্জন দূর করা, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ৪৪তম বিসিএসের ভাইভায় উত্তীর্ণদের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ এবং ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা জুলাই শেষে বা আগস্টের শুরুতে আয়োজন করা।
তারা আরও দাবি করেন, ৪৫তম বিসিএস থেকে ভাইভার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করতে হবে, ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল দিতে হবে। প্রতিটি বিসিএসের জন্য নির্দিষ্ট রোডম্যাপ নির্ধারণ, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ, লিখিত পরীক্ষার রুটিন দুই মাস আগে প্রকাশ এবং পিএসসির সদস্য সংখ্যা ২৫-৩০ জনে উন্নীত করার দাবিও উত্থাপন করেন তারা।
এছাড়া, পরীক্ষার খাতা সরাসরি কমিশনে বসে মূল্যায়নের ব্যবস্থা, ভাইভা পরীক্ষার আগে ক্যাডার পছন্দ পরিবর্তনের সুযোগ, চূড়ান্ত ফলাফলের আগে প্রাক-যাচাই প্রক্রিয়া বাতিল, এবং ‘‘নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩’’ বাতিল করে বিসিএস ভাইভা উত্তীর্ণ সবার চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শতাব্দী কর বলেন, ‘‘আমরা বারবার অন্যায় সহ্য করতে পারি না বলেই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হই। ৪৫তম বিসিএস থেকেই ভাইভার নম্বর ১০০ করা উচিত ছিল। অথচ কর্তৃপক্ষ বলছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে এই সংস্কার করা হবে। তাহলে এখনই কেন নয়?’’