
প্রিন্ট: ১১ জুন ২০২৫, ০৫:৪৬ এএম
বাঙলা কলেজ মাঠে খেলাধুলা করতে নিতে হবে অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৮ এএম

ছবি : সংগৃহীত
সরকারি বাঙলা কলেজের মাঠে এখন থেকে খেলাধুলা করতে হলে নিতে হবে অনুমতি। একাডেমিক পরিবেশে বারবার বিঘ্ন ঘটায় কলেজ প্রশাসন সাময়িকভাবে অনিয়ন্ত্রিত খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনায় পুরোপুরি বন্ধ না করে শর্তসাপেক্ষে মাঠ ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ক্লাস, পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে এবং একটি সুশৃঙ্খল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে চাইলে বিভাগীয় প্রধানের লিখিত অনুমতি নিয়ে, নির্ধারিত সময় ও নিয়ম মেনে মাঠ ব্যবহার করতে পারবেন।
কলেজের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, “শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের অগ্রাধিকার। মাঠে যখন-তখন খেলা শুরু হলে ক্লাসে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, পরীক্ষা চলাকালীন সমস্যা হয়। তাই একটা সিস্টেমের ভেতরে আনা হচ্ছে বিষয়টি।”
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্বিমত দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাঠের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যেত। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলার গুরুত্বও তারা সামনে এনেছেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর মন্তব্য, “পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও তো শিক্ষারই অংশ। আমরা যদি ক্লাসের পরে কিছুটা সময় খেলতে চাই, সেটাকে কেন সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে?”
ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “সেটা ঠিক যে একাডেমিক পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। তবে অনুমতির জটিলতা না রেখে, নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে দিলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। এতে স্বাস্থ্য ও মনোবল—দুটোই ভালো থাকত।”
অন্যদিকে, প্রশাসনের দাবি—এই নীতির উদ্দেশ্য কাউকে খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা নয়, বরং একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলা। অনুমতির মাধ্যমে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় খেলার সুযোগ থাকছে সব শিক্ষার্থীর জন্যই।
শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, কলেজ প্রশাসন পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্বও সমভাবে বিবেচনায় নিয়ে এমন একটি নীতি তৈরি করবে, যা একাডেমিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশেও সহায়ক হবে।