
প্রিন্ট: ১১ জুন ২০২৫, ০৪:২৩ এএম
কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সাময়িকভাবে বহিষ্কার হওয়া ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। একইসঙ্গে খুলে দেয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হল।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় আগামী ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পূর্বের সিদ্ধান্তও বহাল রাখা হয়েছে। এর আগে, বেলা সাড়ে ১২টায় প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের সভাপতিত্বে এই জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরই মধ্যে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর. আবরার আলোচনা করেন। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ বা অপসারণ না করা পর্যন্ত নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা এ বিষয়ে জানান, ইউজিসি তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, আইনের আলোকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি। তবে তার চলে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চালিয়ে যায়।
অন্যদিকে দুপুরে শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত শিক্ষকরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও, আন্দোলন থেকে সরে আসেনি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা এটিকে পরিকল্পিত আন্দোলন হিসেবে মনে করছেন। এছাড়াও, তারা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এ ধরনের দাবি শিক্ষকদের অপমানের শামিল বলে উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বহিরাগতদের সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। পরে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এখন তা উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবিতে রূপ নিয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।