
প্রিন্ট: ১২ জুন ২০২৫, ০৯:০২ এএম
বিঝু উৎসব উপলক্ষে বাঘাইছড়িতে ঘুরতে গিয়ে চবির ৫ শিক্ষার্থী অপহৃত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

অপহৃত মৈত্রীময় চাকমা, অলড্রিন ত্রিপুরা, দিব্যি চাকমা, রিশন চাকমা ও লংঙি ম্রো। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ আদিবাসী শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে অপহৃতদের দ্রুত, নিরাপদ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহৃত হন। তারা হলেন—চারুকলা ইনস্টিটিউটের মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। সকলেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এই অপহরণে জড়িত।
জানা যায়, বিঝু উৎসব উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ঘুরতে যান। উৎসব শেষে ১৫ এপ্রিল তারা খাগড়াছড়ি হয়ে চট্টগ্রামে ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। খাগড়াছড়ি শহরে বাসের টিকিট না পেয়ে কুকিছড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান। পরদিন সকালে টমটমে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে গিরিফুল এলাকায় অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তিরা তাদের গাড়ি থামিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থী ও চালককে তুলে নিয়ে যায়। পরে টমটমচালককে ছেড়ে দিলেও শিক্ষার্থীদের এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মতে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের এভাবে অপহরণ একটি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের পরিপন্থী। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের ওপর এমন বর্বর হামলা আত্মবিধ্বংসী ও উদ্বেগজনক।
তারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান এবং অপহৃত শিক্ষার্থীদের সুস্থ শরীরে মুক্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।