
প্রিন্ট: ২৩ জুন ২০২৫, ০১:৫২ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪ এএম

ফাইল ছবি
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ১০ এপ্রিল। এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৯ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন শিক্ষার্থী। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসির লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। এরপর ২২ মে পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে এবার নানা চ্যালেঞ্জ থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও একগুচ্ছ নির্দেশনা জারি করেছে। শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার জানান, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে জারি করা হয়েছে যেসব নির্দেশনা:
৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ বাধ্যতামূলক: পরীক্ষার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। ৩০ মিনিটের পরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ১৪৪ ধারা: প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। পরীক্ষা চলাকালীন সময় ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখতে হবে।
কোচিং সেন্টার বন্ধ: ১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সারাদেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ: কেন্দ্রসচিব ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না। সচিব শুধুমাত্র ছবি তোলা ও ইন্টারনেট সুবিধাবিহীন সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন নিয়মে কড়াকড়ি: ট্রেজারি বা থানায় রক্ষিত প্রশ্নপত্র শুধুমাত্র ট্যাগ অফিসারসহ প্রহরায় কেন্দ্রে আনা যাবে। কালো কাঁচযুক্ত যানবাহন ব্যবহার নিষিদ্ধ।
প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানানো হবে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে: কোড অনুযায়ী নির্ধারিত সেট প্রশ্নে পরীক্ষা নিতে হবে এবং কেন্দ্রসচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্যাকেট খুলতে হবে।
কেন্দ্রে অননুমোদিত প্রবেশ নিষিদ্ধ: পরীক্ষার্থী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
গুজব ও ফাঁস প্রতিরোধে নজরদারি: প্রশ্ন ফাঁস বা গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র দ্রুত ডাক বিভাগের মাধ্যমে বোর্ডে পাঠাতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচারে দায়িত্বে থাকবেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
এই কঠোর নির্দেশনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।