ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব অভিযোগ করেছেন যে, ছাত্রশিবিরের অনেক সদস্য ছাত্রলীগের পদ গ্রহণ করে হলে আরাম-আয়েশে জীবনযাপন করছে, অথচ তাদের গুপ্ত রাজনীতির ফলে বহু সাধারণ শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ ধরনের কার্যকলাপের দায় কে বহন করবে?—এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, বাংলাদেশে একটি গুপ্ত ছাত্রসংগঠন আছে, যারা মানবিক ও গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বরং তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে রাজনীতিতে টিকে থাকতে চায়।

তিনি আরও বলেন, তাদের ক্যাম্পাস কমিটিগুলো মাত্র দুই, তিন বা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট। আমরা জানতে চাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি তাদের শুধু ১৫ জন নেতাকর্মী আছে? তিতুমীর কলেজে মাত্র দুজন? তারা এসব প্রশ্নের জবাব দিতে পারে না, কারণ তাদের মধ্যে নৈতিক সাহসের অভাব রয়েছে। তারা প্রকাশ্য ছাত্ররাজনীতি করার মতো শক্তি ও আদর্শগত দৃঢ়তা রাখে না, তাই এখনো গুপ্ত সংগঠন হিসেবেই টিকে আছে।

কুয়েটে হামলার প্রসঙ্গে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, যখন ছাত্রদলকে রাজনৈতিকভাবে বিপথগামী করা সম্ভব হয়নি, তখনই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হামলা চালিয়ে এর দায় আমাদের ওপর চাপানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, শিবির ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালানোর কৌশল হিসেবে এই কাজ করেছে।

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদল সবসময় আধিপত্যবাদ বিরোধী শক্তির প্রতীক আবরার ফাহাদকে হৃদয়ে ধারণ করে। অথচ আমরা দেখতে পাই, শিবিরের সাবেক সভাপতি শিশির মনির আবরার হত্যাকাণ্ডের আসামিদের আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেছেন।

তিনি বলেন, যদি শিবিরের সাবেক শীর্ষ নেতা আবরারের খুনিদের আইনজীবী হন, তবে এর দায় অবশ্যই শিবিরকে নিতে হবে এবং তাদের এ বিষয়ে জবাবদিহি করতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনীকের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, জাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী প্রমুখ।