উৎসবমুখর পরিবেশে গ্রিন ইউনিভার্সিটির পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বর্ণাঢ্য আয়োজন ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইলিনয়স স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিসটিংগুইশড প্রফেসর ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ। এছাড়া বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ।
সমাবর্তনে ৪,১২৯ জন গ্রাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়, যার মধ্যে ৫ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১০ জনকে ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।
সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, সাম্প্রতিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বেড়েছে। তিনি বলেন, "যারা পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে, তারাই সমাজ গড়তে পারে। সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনা বিকশিত হয়নি, যা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই। সেই পথে এগিয়ে যেতে নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তি ও মানবিকতার সমন্বয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, "সমাবর্তন শুধু গ্রাজুয়েশন পর্বের সমাপ্তি নয়, এটি নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের এবং বাস্তব জীবনে নিজের অবস্থান তৈরির সূচনা।" তিনি শিক্ষার্থীদের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, "গ্রাজুয়েটদের ভবিষ্যৎ অফুরন্ত সম্ভাবনায় ভরা, তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়।" তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ তাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং চালু হয়েছে এবং শিগগিরই ফার্মেসি ও আর্কিটেকচারের মতো বিষয়ও চালু করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, "আগামীর বিশ্ব গতিশীল ও বহুমাত্রিক, যেখানে চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি অসীম সুযোগও রয়েছে।" তিনি শিক্ষার্থীদের সাইবার প্রযুক্তি, ৫জি শিল্পবিপ্লব, হাইটেক যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং চ্যাটজিপিটির মতো নতুন উদ্ভাবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, "গ্রাজুয়েটদের আত্মবিশ্বাসকে আত্মশক্তিতে রূপান্তর করে দেশ ও দশের জন্য অসাধ্য সাধন করতে হবে।"
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্যগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।



