নবম-দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন ফিরিয়ে এনে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, প্রশ্নের ধরন এবং মানবণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বোর্ডের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের মোট ৩২টি বিষয়ের সিলেবাস প্রকাশিত হয়েছে।

২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার মানবণ্টনে ব্যবহারিক না থাকা বিষয়গুলোতে ৭০ নম্বর থাকবে রচনামূলক অংশে এবং ৩০ নম্বর বহুনির্বাচনি অংশে। ব্যবহারিকসহ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ৭৫ এবং ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বর থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর গত ১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রণীত ‘নতুন শিক্ষাক্রম বা জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় তখন এক পরিপত্রে জানিয়েছিল, বিদ্যমান শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নযোগ্য নয়। তাই ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করে ২০২৬ সাল থেকে তা কার্যকর করা হবে। তার আগে ২০২৫ সালে শিক্ষার্থীদের জন্য আগের শিক্ষাক্রমের ধাঁচে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে।

‘২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা (পরীক্ষা ২০২৬ সালে) নেওয়ার জন্য বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রেখে পূর্বের জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুযায়ী প্রণীত সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তকগুলো (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত পুস্তক) সরবরাহ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে প্রণীত এসব পাঠ্যপুস্তকের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি প্রণয়ন করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা এক শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই সম্পন্ন করতে পারে। পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ অনুসারে পরিচালিত হবে।’

২০২৫ সালের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১২ সালের পাঠ্যসূচির বইগুলো পরিমার্জন করে ছাপানোর কাজ চলছে, যারা ২০২৬ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বসবে, তারা এসব বই পাবে।