৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২২ পিএম
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে এই প্রস্তাবকে অপর্যাপ্ত ও অসম্পূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকরা এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মরিয়ম মিতুর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) প্রদান করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সব ধরনের আর্থিক বিধিবিধান মেনে ভাতা প্রদান করতে হবে এবং কোনো অনিয়ম ঘটলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
এ বিষয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার সময়ই আমরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। এটি আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি।
তিনি জানান, দুপুর ১২টায় শিক্ষা ভবন অভিমুখে থালা-বাটি হাতে ভুখা মিছিল করার কথা থাকলেও, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকের কারণে মিছিলটি বেলা ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে, কিন্তু শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
১২ অক্টোবর থেকে তারা জাতীয় প্রেসক্লাব ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান, সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ এবং শাহবাগ অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছেন।
শিক্ষক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন- বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ করা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা করা এবং উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জাতীয় বেতনস্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ১ হাজার ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা পান। উৎসব ভাতা বর্তমানে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে প্রদান করা হচ্ছে।
শিক্ষকদের দাবি, এত কম বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দিয়ে মানবিকভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়। সরকার যদি দ্রুত দাবি না মেনে নেয়, আন্দোলন আরও বিস্তৃত হবে।



