ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট শুরুর চার ঘণ্টা পরও মোট কত শতাংশ ভোট পড়েছে—সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পরিসংখ্যান দেয়নি নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। তবে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য হারে ভোটগ্রহণ চলছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পর ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি ভবনে মোট ৬০টি কক্ষে প্রায় ৭০০ বুথে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট চলবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা দিয়েছেন কেন্দ্রটির রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মো. আল আমীন।
তিনি বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল, এখন তা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে।’ এই কেন্দ্রে শাহ আমানত, শহীদ আবদুর রব ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৫৩৮ জন।
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের মোট ভোটার ৫ হাজার ২৬৩ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকবাল শাহীন খানের তথ্য অনুযায়ী, দুপুর ১টা পর্যন্ত ছয়টি কক্ষে ৩০ শতাংশ এবং অন্য ছয়টি কক্ষে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ৬ হাজার ৮১৮ ভোটারের মধ্যে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২ হাজার ৮৫৯ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারি।
চাকসু নির্বাচনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ শুরু হয় আরও দেরিতে—বেলা সাড়ে ১১টার পর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি বিভাগ ও ছয়টি ইনস্টিটিউটের ২৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী তাদের সংযুক্ত ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে ১৩টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নিজস্ব নামে প্যানেল দিয়েছে, আর ইসলামী ছাত্রশিবির অংশ নিচ্ছে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ নামে। বাম সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট যৌথভাবে গঠন করেছে ‘দ্রোহ পর্ষদ’ প্যানেল। কয়েকটি বাম ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নিয়েছে ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেলে।
ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৪ জন, আর জিএস পদে ২২ জন প্রার্থী।



