Logo
Logo
×

শিক্ষা

আমতলীতে বিদ্যালয় ভবনে গোয়াল ঘর

Icon

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম

আমতলীতে বিদ্যালয় ভবনে গোয়াল ঘর

স্কুল ঘরে গরু-মহিষ পালন করা হচ্ছে-

বিদ্যালয়ে গোয়াল ঘর তৈরি করে গরু লালন পালন করায় পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী শাহ আলম হাওলাদার ও ফোরকান হাওলাদার প্রভাবখাটিয়ে গোলায় ঘর তৈরি করছেন। গত তিন মাস ধরে বিদ্যালয়ে গরু লালন-পালন করায় শিক্ষার্থীরা পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পরেছে। বর্জ্য চারিদিকে ছড়িয়ে পরায় রোগ ব্যধী ছড়াচ্ছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে । 

এমন কাজের সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। 

জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দের শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেছে। গত তিন মাস ধরে ওই বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় গোয়াল ঘর তৈরি করে স্থানীয় প্রভাবশালী শাহ আলম হাওলাদার ৫ টি গরু ও ফোরকান হাওলাদার ৩ টি মহিষ লালন পালন করছেন। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। বর্জ্য চারিদিকে ছড়িয়ে পরায় পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পরেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। 

পঁচা দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত এবং ক্লাসে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নিষেধ করা সত্তে¡ও তারা তা মানছেন না এমন অভিযোগ প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তারের। দ্রæত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বিদ্যালয় ভবনের গোয়াল ঘরে ৫ গরু ও ৩ টি মহিষ বাঁধা আছে। গরু-মহিষের  খাবারে খর-কুটা ও ঘাসে একাকার হয়ে আছে। গোবর ও খর কুটার বর্জ্য চারদিকে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। বিদ্যালয় মাঠ  বর্জ্যে ভরে গেছে।  শিক্ষার্থীদের নাক চেপে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। মশা-মাছি ছড়িয়ে পরছে। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিল, সাদিয়া, সাব্বির ও মুসাদ্দিকা বলেন, বিদ্যালয়ে গোয়াল ঘর থাকায় পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। পঁচা দুর্গন্ধে শ্রেনী কক্ষে টেকা দায়। দ্রæত বিদ্যালয় থেকে গোয়াল ঘর অপসারণের দাবী তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বলেন, গত তিন মাস ধরে শাহ আলম হাওলাদার ও ফোরকান হাওলাদার বিদ্যালয় ভবনের গোয়াল ঘর তৈরি করেছেন। দিন-রাত গোয়াল ঘরে গরু ও মহিষ রাখা হচ্ছে। গোয়াল ঘরের বর্জ চারিদিকে ছড়িয়ে পরছে। দ্রæত বিদ্যালয় থেকে গোয়াল ঘর অপসারণের দাবি তাদের। 

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. নাসিমা আক্তার বলেন, শাহ আলম হাওলাদার ও ফোরকান হাওলাদার জোর করে ভবনে গোয়াল ঘর তৈরি করেছেন। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। গোয়াল ঘরের বর্জ্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।  তাদের বারবার গোয়াল ঘর অপসারণ করতে বলা সত্তেও তারা তা করছেন না। তিনি আরো বলেন,স্থানীয় সুশীলদের সহায়তায় তাদের বলেছি কিন্তু তারা তাও শুনছেন না।   

শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বিদ্যালয় ভবনে গোয়াল ঘর তৈরি করা আমার ভুল হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই গোয়াল ঘর সরিয়ে নেয়া হবে।আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ খবর নিয়ে এখনই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি গোয়াল ঘর অপসারণ না করেন তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন