রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোষ্য কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনার প্রতিবাদে তারা দ্বিতীয় দিনের মতো ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করছেন, যার ফলে পুরো ক্যাম্পাস কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে প্রশাসন ভবনের পশ্চিম পাশে চেয়ার পেতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রশাসনের অধিকাংশ দপ্তরে তালা ঝুলছে, যদিও কিছু অফিস খোলা রয়েছে। বিজয়-২৪ হলে ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখা গেলেও পরিবেশ ছিল থমথমে।
বুদ্ধিজীবী চত্বরে অবস্থানরত ফিসারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, “২০ তারিখে উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরসহ অনেককে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদেই আমরা শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছি। সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।”
একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্টার আবু মো. তারেক বলেন, “আমাদের দাবি স্পষ্ট—উপ-উপাচার্যকে লাঞ্ছনার সুষ্ঠু সমাধান না হলে আমরা কাজে ফিরব না।”
এর আগে, রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল হওয়া পোষ্য কোটা ১০ শর্তে পুনর্বহাল করে প্রশাসন। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। শনিবার জুবেরী ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এর পরদিন শিক্ষক-কর্মকর্তারা এক দিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন, যা এখন অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর রাতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল আলীম কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। অফিসার সমিতিও সংবাদ সম্মেলন করে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে রাকসু নির্বাচন কমিশনার জরুরি সভা করে ভোটগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অচলাবস্থা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, এবং প্রশাসনের সামনে সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।



