Logo
Logo
×

শিক্ষা

জবিতে ছাত্রীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ

Icon

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম

জবিতে ছাত্রীকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ

ছবি-সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষের (২০ ব্যাচ) একজন নারী শিক্ষার্থীকে র‍্যাগ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড.মনিরা জাহান নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষের পোস্ট দেওয়া হলে বিষয়টা আলোচনায় আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গেছে, আন্তঃবিভাগ ফুটবল খেলা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে যান ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে ম্যানার নিয়ে কথা বলেন তারা। এ সময় প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থীকে সিনিয়র নারী শিক্ষার্থীকে না চেনার কারণে জেরা করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর প্যানিক অ্যাটাক হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে যোগাযোগ করা হলেও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালককে ফোনে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেন জুনিয়র শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (১৯ ব্যাচ) একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ক্লাসে অসুস্থ হওয়া মেয়েটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন বলে তারা জানতে পেরেছেওই মেয়েটি মাঝেমধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যায়ওই দিন মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়পরে মেয়েটি সুস্থ হলে তাকে সবাই ‌‌‘সরিবলেছে

ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, গত ৩০ জুলাই দুপুর আড়াই টার দিকে আমাদের একটি প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা করতে কিছু সিনিয়র ভাই-বোন আমাদের ক্লাসে এসেছিলেন। সেদিন সকালে একজন আপুর সঙ্গে আমার দেখা হয়, যাকে আমি চিনতাম না। পরে ক্লাসে এসে আপু আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন, আমি কেনো তাকে চিনতে পারিনি। আমি স্বাভাবিকভাবেই তাদের উত্তর দেই, ‘আপু, আমি তো আপনাকে চিনি না।’ এরপর কয়েকজন ভাই সেখানে উপস্থিত হয়ে কিছুটা জোরে জোরে বলেন, ‘চিনো না কেনো? নাম জানো না কেনো?, এসব কথায় আমি হঠাৎ ভয় পেয়ে যাই এবং প্যানিক অ্যাটাক করি।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুলাই এ ঘটনার পর ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর কাজী ফারুক হোসেন ভুক্তভোগীদের নোটিশ দিয়ে ডাকেন। সঙ্গে ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরও ডাকা হয়। সেখানে কোনো নিষ্পত্তি করতে পারেনি ইনস্টিটিউট পরিচালক মনিরা জাহান। পরে বিষয়টা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হলে আলোচনায় আসে। তবে এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র জানায়, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিতে বলা হলেও কোনো গুরুত্ব দেননি মনিরা জাহান। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেনি।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনিরা জাহান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কেনো ব্যাচ অভিযোগ করেনি। তবে আমরা বিষয়টা একজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আগামী রোববার লিখিত অভিযোগ দিবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। উভয় ব্যাচের সঙ্গে বসে প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, র‍্যাগিং সম্পর্কিত অভিযোগ তাৎক্ষণিক জানানোর দায়িত্ব বিভাগের। আমাদের প্রক্টরিয়াল বডিতে আইইআর থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি। সাংবাদিকদের থেকে শুনে আমরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাকে ফোনে না পেয়ে আমরা ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বুধবার এ বিষয়ে প্রক্টর অফিসে বিস্তারিত জানানোর কথা। কিন্তু আইইআর’র থেকে কোনো অভিযোগ পাঠানো হয়নি। সূত্র : জাগো নিউজ

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন