Logo
Logo
×

শিক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রস্তাব পেলেন বাংলাদেশের মীম

Icon

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৫, ০৯:২৪ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার প্রস্তাব পেলেন বাংলাদেশের মীম

মুমতাহিনা করিম মীম চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা বড়বাড়ির মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা মীম নিজেকে আস্তে আস্তে গড়ে তুলেছেন। অবশেষে মিলেছে সফলতা। যুক্তরাষ্ট্রের হেনড্রিক্স কলেজ থেকে বিশ্ববিখ্যাত ‘হেইস মেমোরিয়াল স্কলারশিপ’ অর্জন করেছেন তিনি। এটি একটি ফুল-রাইড স্কলারশিপ।

প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চারজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এ বছর স্কলারশিপ পাওয়া চারজনের তিনজনই যুক্তরাষ্ট্রের এবং এর বাইরে পুরো বিশ্ব থেকে সুযোগ পাওয়া একমাত্র শিক্ষার্থী মীম। মীমের এ অর্জন উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা অনেক শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে এ অসাধারণ অর্জনের জন্য সরফভাটা বড়বাড়ির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এতে বক্তব্য দেন বড়বাড়ির বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম, আরিফুল হাসান চৌধুরী মুরাদ, মঞ্জুর হাসান চৌধুরী, খালেদ হোসেন চৌধুরী রাসেল, নাজিম উদ্দীন চৌধুরী সুজা, করিম চৌধুরী, মো. রাহাত, মো. শিফু, সোহেল রানা প্রমুখ।

শুধু হেনড্রিক্স কলেজ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের আরও ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেয়েছেন মীম। সব মিলিয়ে তার প্রাপ্ত স্কলারশিপের পরিমাণ প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। তবে মীম জানিয়েছেন তিনি হেনড্রিক্স কলেজেই কম্পিউটার সায়েন্স (ডুয়েল-ইঞ্জিনিয়ারিং) প্রোগ্রামে স্নাতক সম্পন্ন করবেন। জানা গেছে, আগামী ৫ আগস্ট নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

মীমের বাবা ব্যবসায়ী আব্দুল করিম চৌধুরী, মা ইয়াসমিন আকতার। তিনি চট্টগ্রাম নগরের অংকুর সোসাইটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কাপাসগোলা মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ছোটবেলায় একবার বাবা-মার সঙ্গে বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন তিনি।

নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে মীমকে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় নিজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। নবম শ্রেণিতে গড়ে তোলেন ৬৫ সদস্যের প্রোগ্রামিং ক্লাব। এই ক্লাবেই শুরু তার নেতৃত্বগুণ আর প্রযুক্তির প্রতি ভালোবাসা। পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতেছেন মীম।

সবচেয়ে ব্যতিক্রমী কাজ করেন করোনা মহামারির সময়। ঘরে বসেই গড়ে তোলেন একটি মিনি রোবটিক্স ল্যাব। নির্মাণ করেন ‘কিবো’ নামে একটি রোবট যেটি খাবার পরিবেশন করতে পারে।

প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সাক্ষাৎকারে অংশ নেন মীম। যাত্রাটা সহজ ছিল না; কিন্তু অদম্য ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে তিনি তা পূরণ করেছেন।

নিজের সংগ্রাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সহশিক্ষা কার্যক্রম আমার পরিচয়ের বড় অংশ। ছোটবেলা থেকেই বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন, গান, প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করেছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কৃত হয়েছি এবং সেখান থেকেই অনুপ্রেরণা লাভ করেছি। স্বপ্ন ছিল বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের এবং সেজন্য নিজেকে ধাপে ধাপে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি এবং মা-বাবা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় সফল হয়েছি।’

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন