
প্রিন্ট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ দেখছে আইসিএবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৫২ পিএম

ছবি- সংগৃহীত
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগের বাধা মোকাবিলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় উচ্চতর বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মনে করছে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)। এসব বিষয়ে সরকারকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার (৪ জুন) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ চ্যালেঞ্জের কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি মারিয়া হাওলাদার। আইসিএবির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মারিয়া হাওলাদার বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যমান কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে যেমন- মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগের বাধা মোকাবিলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষায় উচ্চতর বিনিয়োগ এসবের দিকে সরকারকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।আইসিএবি সভাপতি বলেন, আমরা দেখেছি যে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার পূর্বের বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে, যা ক্রমাগত অর্থনৈতিক সংগ্রাম মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত সংকোচনমূলক পদ্ধতির প্রতিফলন। গত অর্থবছরের বাজেটে মূল বরাদ্দের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বরাদ্দ কমানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।
বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ ঋণ এবং বিদেশি ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং সীমিত রাজস্ব স্থানের পরিপ্রেক্ষিতে কম বাজেট ঘাটতি নির্ধারণ করা একটি বুদ্ধিমানের পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি।