
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
৪ হাজার কোটি টাকার দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম

প্রতি বছর দেশে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি হয়। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ২৫০ মিলি লিটার দুধ প্রয়োজন। সেখানে আমাদের প্রাপ্যতা মাত্র ২৩৫ মিলি লিটার। দেশে বছরে প্রায় ১৫ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধের প্রয়োজন হয়। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও দেশে তরল দুধের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে প্রতি বছর দেশে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আমদানি করতে হয়।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম, পশু পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো সাইফুল ইসলাম, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের ড. সুবাস চন্দ্র দাস, ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড এ কে এম মাসুমসহ ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আশিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে বছরে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়। দুধের উৎপাদন ঘাটতির পেছনে নানা ধরনের সমস্যা জড়িত রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ভালো জাতের দুধেল গাভীর অভাব, গো-খাদ্যের স্বল্পতা ও উচ্চ মূল্য এবং দুধ বাজারজাতকরণের জটিলতা।
বাকৃবিতে দুধ উৎপাদনের সীমাবদ্ধতা বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো: হারুন অর রশীদ জানান, বাকৃবির ডেইরি খামারে প্রত্যেক দিন ৫শ’ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষেকের সংখ্যা বিবেচনয় চাহিদার তুলনায় নগণ্য। বাকৃবির নিজস্ব ডেইরি খামারের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে বর্তমানে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার শিক্ষার্থীর দুধের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ডেয়রি খামারের দুধ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা প্রয়োজন। এই পরিমান অর্থ বরাদ্দ করা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর দুধের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। তবে বাজেট মাত্র ৮৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কোন শিক্ষার্থী যদি খামারে গিয়ে দুধ চায় তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না কমপক্ষে ১ থেকে ২ লিটার করে দুধ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)র উদ্যোগে ২০০১ সালে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশেও এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।