Logo
Logo
×

অর্থনীতি

মাংস-মাছের চড়া দামে স্বস্তির ছোঁয়া শুধু মুরগির বাজারে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১২:৩১ পিএম

মাংস-মাছের চড়া দামে স্বস্তির ছোঁয়া শুধু মুরগির বাজারে

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর বাজারগুলোতে গরু ও খাসির মাংসের দাম যেন ছুঁয়েছে আকাশ। সেই সঙ্গে মাছের বাজারেও রয়েছে দামের ওঠানামা। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য একমাত্র স্বস্তির জায়গা হয়ে উঠেছে মুরগির বাজার। তুলনামূলকভাবে মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকায় ক্রেতারা এখন এই পণ্যের দিকেই ঝুঁকছেন। কেউ কেউ তো বেশি করে কিনে ফ্রিজেও তুলে রাখছেন।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে রাজধানীর বনশ্রী, রামপুরা ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা যায়— গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০–৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১,২৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১,১০০ টাকা।

এমন চড়া দামে অনেক ক্রেতাই গরুর মাংসের দোকানে ঘুরে মুরগির দোকানে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন।

মুরগির দামের চিত্র কিছুটা স্বস্তিদায়ক— ব্রয়লার: ১৭০–১৮০ টাকা, সোনালি: ২৫০–২৬০ টাকা, লেয়ার (সাদা ও লাল): ২৫০–২৬০ টাকা, দেশি মুরগি: ৫৫০–৬০০ টাকা, হাঁস: প্রতি পিস ৬০০–৭০০ টাকা।

মাছের বাজারেও বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা গেছে। কিছু মাছের দাম স্থির থাকলেও বেশিরভাগেরই দাম এখনো অনেক বেশি।

উল্লেখযোগ্য কিছু মাছের দাম হলো— রুই: ৩০০–৩৫০ টাকা, কাতল: ৩৫০–৪০০ টাকা, চিংড়ি: ৬৫০–৮০০ টাকা, তেলাপিয়া: ১৫০–২২০ টাকা, পাঙাশ: ১৮০–২২০ টাকা, দেশি কৈ: ৮০০–১,০০০ টাকা, দেশি শিং: ১,০০০–১,২০০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, মাছ ও গরুর মাংসের দামের চাপে তারা মুরগিকেই এখন ভরসা হিসেবে দেখছেন। রামপুরা বাজারে হাসিবুর রহমান বলেন, রুই মাছও এখন ৩৫০ টাকা! তাই তেলাপিয়াতেই ফিরতি পথ খুঁজছি।

চাকরিজীবী ফারজানা ইয়াসমিন মনে করেন, সিন্ডিকেটের কারণে খুচরা বিক্রেতারাও গরুর মাংসের দাম কমাতে পারছেন না। ৮০০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস নিয়েছি—দামটা অনেক বেশি মনে হচ্ছে, বলেন তিনি।

রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, গরুর মাংসের দিকে তাকাতেও পারি না। তাই বেশি করে মুরগি কিনে রেখেছি।

বিক্রেতারাও বলছেন, তাদের হাতে দাম কমানোর সুযোগ নেই। মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, মাসখানেক আগেও ব্রয়লার বিক্রি করেছেন ২০০ টাকায়, এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১৭০ টাকায়।

মাংস বিক্রেতা আজাহার আলী বলেন, আমরা নিজেরা দাম বাড়াই না, পাইকারি বাজার থেকে যেভাবে আসে সেভাবেই বিক্রি করি।

মাছ বিক্রেতা জসিম উদ্দিন জানান, কিছু মাছের দাম কমেছে, কিছু বেড়েছে। তবে সব মিলিয়ে বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

চড়া বাজারের বাস্তবতায়, আপাতত রাজধানীবাসীর জন্য ‘বাঁচার উপায়’ হয়ে উঠেছে মুরগির মাংস। ঈদের আগে পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন