
প্রিন্ট: ১৩ জুন ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
রিজার্ভ ৪০ বিলিয়নে নিতে সময় লাগবে : গভর্নর আহসান এইচ মনসুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১২:১০ এএম

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আগামী মাসে ২৭ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। তবে সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে রিজার্ভকে ৪০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, যা অর্জনে সময় প্রয়োজন হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীতে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত “বাংলাদেশে আর্থিক উন্নয়নের ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক প্রবণতা” শীর্ষক গবেষণা প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গভর্নর।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশের আর্থিক খাতকে আরও কার্যকর ও জনগণের সেবায় সক্ষম করতে হলে ব্যাংকিং খাতে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। বিশেষ করে, আর্থিক সেবার বিস্তার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং নিশ্চিত করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গবেষণায় যেসব অঞ্চল এখনও আর্থিক সেবার বাইরে রয়ে গেছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের দায়িত্ব এখন এমন নীতিমালা গ্রহণ করা, যাতে কোনো অঞ্চল কিংবা জনগোষ্ঠী পেছনে পড়ে না থাকে।”
পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার জানান, এই গবেষণায় দেশের ব্যাংকিং খাতের বিকাশের একটি সময়ভিত্তিক ও ভৌগোলিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের একটি সুস্পষ্ট চিত্র সামনে এনেছে। তিনি বলেন, “আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাস্তবায়নের জন্য প্রথমেই আমাদের জানতে হবে কারা এবং কোথায় আর্থিক সেবার বাইরে পড়ে রয়েছে।”
পিআরআই-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান গবেষণার মূল তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের মাত্র ১ শতাংশ ঋণগ্রহীতা সম্পূর্ণ ব্যাংকিং ঋণের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ছাড়া দেশের মোট ঋণের ৭৮ শতাংশ ঢাকায় ও চট্টগ্রামে কেন্দ্রীভূত।” তিনি আরও জানান, “বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রধানত অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে, যা থেকে বোঝা যায় যে দেশের দরিদ্র অঞ্চলে তারা কার্যকরভাবে পৌঁছাতে পারছে না।”
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন আইজিসি বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. নাসিরুদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মো. আনিস উর রহমান।
এই আলোচনা সভার যৌথ আয়োজক ছিল পিআরআই, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি)।