
প্রিন্ট: ১৩ জুন ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
অপপ্রচারে বিভ্রান্তি নয়, স্বচ্ছতা ও সততার পথেই এগিয়ে যাচ্ছে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

সম্প্রতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মহল এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি ও এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জড়িয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সোনার ক্রেস্ট বিতরণে ভেজাল, সিআরআই-সংযোগ, মুজিব বর্ষে দুর্নীতি, জয় বাংলা কনসার্ট এবং বিজ্ঞাপন বাজারে একচেটিয়া আধিপত্যের অভিযোগ আনা হলেও, এর কোনোটিই এশিয়াটিকের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নয়।
প্রতিটি বিষয়ে এশিয়াটিকের সুস্পষ্ট অবস্থান:
সোনার ক্রেস্ট বিতরণ: সরবরাহ করে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান। এশিয়াটিক ছিল শুধুমাত্র ইভেন্ট ম্যানেজার।
সিআরআই ও জয় বাংলা কনসার্ট: কোনদিনই এশিয়াটিক বা এর কোনো অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জড়িত ছিল না।
সরকারি অনুষ্ঠান আয়োজন: প্রাক-যোগ্যতা ও দরপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়মেই দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়।
বিজ্ঞাপন বাজার: প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে অন্যান্য এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে, কোনো একচেটিয়া দখল নেই।
ব্যাংক হিসাব জব্দ সংক্রান্ত বিষয়ে:
কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই এনবিআরের সিআইসি নির্দেশে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির ১৭টি প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। এখন এশিয়াটিকের ট্যাক্স ও লিগ্যাল টিম বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
প্রভাব ও উত্তরাধিকার:
বর্তমানে, এশিয়াটিকে ৭০০+ স্থায়ী এবং ৪০০০ চুক্তিভিত্তিক কর্মী কাজ করছেন, যাদের জীবিকা এ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া ৫০০+ ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান রয়েছে এর সঙ্গে যুক্ত। আকস্মিকভাবে হিসাব জব্দ করার ফলে এ বিপুল অংশীজন ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
প্রতিষ্ঠাতা আলী যাকেরের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, গত ছয় দশক ধরে এশিয়াটিক শুধুমাত্র মার্কেটিং কমিউনিকেশনস খাতে সেবা প্রদান করে আসছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে বিগত পাঁচ বছরে ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ভ্যাট ও কর প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিষ্ঠা, সততা ও স্বচ্ছতা—এই তিন মূলনীতি নিয়েই এশিয়াটিক ভবিষ্যতেও পথ চলবে।