
প্রিন্ট: ১৪ জুন ২০২৫, ০৬:২৮ এএম
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২ এএম

ছবি : সংগৃহীত
প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশের মোট রিজার্ভ প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ বর্তমানে ২১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৬৭৮ কোটি ডলার)। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৪২ কোটি ডলার।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংক আরও একটি হিসাব রাখে, যা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ হিসেবে পরিচিত। যদিও এটি সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় না, তবে সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সাধারণভাবে, একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন।
আইএমএফের বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভ হিসাব করা হয়। এতে মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ পাওয়া যায়।
প্রবাসী আয়ের ব্যাপারে, গত মার্চ মাসে নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ওই মাসে প্রবাসীরা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। চলতি এপ্রিল মাসেও ২৬ দিনে ২.২৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ক্রমেই বেড়েছে। বিশেষ করে মার্চে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এভাবে টানা সাত মাস ধরে দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স আসার ফলে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং অর্থনৈতিক অবস্থাও চাঙ্গা রয়েছে।