এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমালের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
ছবি : সংগৃহীত
নিয়মবহির্ভূতভাবে ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের এক উপপরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত অনুসন্ধান দল ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
দুদকের পাঠানো চিঠির কপি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগের কাছে চার ধরনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকটির স্পন্সর শেয়ারহোল্ডার তোহেল আহমেদ এই অভিযোগ তোলেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অমান্য করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই তমাল মাত্র ২৭ জন কর্মকর্তাকে ৫ থেকে ১৩টি পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট দিয়েছেন। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সর্বোচ্চ তিনটি ইনক্রিমেন্ট দিতে পারেন। বিশেষ করে এমডির পরবর্তী দুই ধাপের কর্মকর্তাদের ইনক্রিমেন্ট করার এখতিয়ার তাঁর নেই। তবুও দুই ডেপুটি এমডিকে ১০টি করে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হয়েছে, যা ব্যাংকিং ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরসাত আলী অভিযোগ করেছেন, তমাল বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা পাচার করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত ফি অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে জনপ্রতি ৭ হাজার ২০০ টাকা সম্মানি নির্ধারিত থাকলেও, তমাল ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আসিফ ইকবাল প্রতি বৈঠকে ৫০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করেছেন, যা আইনপরিপন্থী।
তমালের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া মতিঝিল ও গুলশানে দুটি অফিস পরিচালনা এবং ‘এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট’ নামে একটি বিধিবহির্ভূত প্রতিষ্ঠান স্থাপন।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তমালের যোগদানের পর নতুন নিয়োগ, অনুগত কর্মীদের একাধিক ইনক্রিমেন্ট, নীতিমালা ভেঙে অফিস পরিচালনা, বোর্ড সভায় অতিরিক্ত সম্মানি প্রদানসহ সব অনিয়মের তথ্য এবং এ বিষয়ে কোনো তদন্ত বা অডিট হয়ে থাকলে তার সত্যায়িত কপি চেয়েছে।



