
প্রিন্ট: ১৬ জুন ২০২৫, ০৪:২১ এএম
সবজির বাজারে আগুন : বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

ফাইল ছবি
শীতের মৌসুম শেষে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল সবজির বাজারে। তবে সেই স্বস্তি এখন অতীত। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে আবারও সবজির দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উত্তরা, বাড্ডা ও মধ্যবাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজি এখন ৮০ টাকার ঊর্ধ্বে, আর কিছু কিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গোল ও লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙা, কচুর লতি, ঢেঁড়শসহ নানা সবজি। এর মধ্যে বরবটি, কচুর লতি, পটল, চিচিঙ্গা, বেগুন ও শালগমের দাম কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। আর শজনে ও কাঁকরোলের দাম মানভেদে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
তুলনামূলকভাবে কম দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দুল, ঢেঁড়শ ও কাঁচা পেঁপে—যেগুলোর দাম ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে টমেটো, যার দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। আলুর দাম এখনও স্থিতিশীল—২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি, তবে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে চড়া দাম ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি এর জন্য দায়ী। আজমপুর কাঁচাবাজারের বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন জানান, শীতের তুলনায় বর্তমানে সবজির উৎপাদন খরচ বেশি, আর দূরবর্তী মোকাম থেকে আনতে খরচও বেশি। ফলে তারা বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে নেই বললেই চলে। ফলে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে।
এই বাজার পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে এসে অনেকে প্রয়োজন অনুযায়ী সবজি না কিনে অর্ধেক পরিমাণে ফিরছেন। ক্রেতা আবু সালেহ বলেন, সবজির দাম হঠাৎ এত বেড়ে যাবে ভাবিনি। আজ পুরো সপ্তাহের বাজার করতে এসেছিলাম, কিন্তু অর্ধেক কিনেই ফিরছি।
অনেক ক্রেতার দাবি, বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী। পাইকারি ও খুচরা দামের ব্যবধান অস্বাভাবিক রকমের বেশি, অথচ এসবের ওপর তেমন নজরদারি নেই।