
প্রিন্ট: ২৮ জুন ২০২৫, ০৩:০৬ এএম
২০২৩ সালে কর ফাঁকির কারণে বাংলাদেশ রাজস্ব হারিয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
২০২৩ সালে কর ফাঁকির কারণে বাংলাদেশ আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সোমবার (২১ এপ্রিল) সিপিডির কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তাদের গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সিপিডি জানিয়েছে, এই ক্ষতির প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে। ২০২৩ সালে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১১ সাল থেকে কর ফাঁকির পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১২ সালে তা ছিল ৯৬ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা এবং ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা।
সিপিডি তাদের গবেষণায় কর ফাঁকির পেছনে উচ্চ কর হার, প্রশাসনিক দুর্বলতা, জটিল আইনি কাঠামো এবং কর ব্যবস্থাপনার দুর্নীতিকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় থাকা বাংলাদেশের জন্য কর ফাঁকির এই পরিস্থিতি বড় চ্যালেঞ্জ। এলডিসি উত্তরণের পর বহুজাতিক কোম্পানির বিনিয়োগ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঝুঁকিও বাড়বে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিপিডি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ব্যবস্থার ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন ও নীতিগত সংস্কারের সুপারিশ করেছে। এছাড়া প্রণোদনা ও কর ছাড়ের কারণে সরকার প্রতি বছর বিশাল রাজস্ব হারাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিনিয়োগের ভিত্তি হিসেবে প্রণোদনা বা কর ছাড়ের প্রথা সম্পূর্ণ বন্ধ করা উচিত।