
প্রিন্ট: ৩০ জুন ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম
বাড়ছে পেঁয়াজ-তেলের দাম, চাপ বাড়ছে মধ্যবিত্তের ঘাড়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের লাগামহীন দামে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। রাজধানীর বাজারগুলোতে গত দুই সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। একই সময়ের মধ্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বেড়েছে ১৪ টাকা। চালের বাজার আগে থেকেই চড়া, ফলে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সংসার চালানো হয়ে উঠছে কঠিন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খরচ বেড়ে গেছে পরিবারগুলোর।
তবে কিছুটা স্বস্তির খবরও আছে। ঈদের আগে যেসব বাজারে অস্থিরতা ছিল, সেগুলোর মধ্যে মুরগি ও সবজির দাম এখন কিছুটা কমতির দিকে। ডিমের দামও স্থিতিশীল রয়েছে।
পেঁয়াজের বাজারে নতুন ঝাঁজ
বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমে ভালো ফলনের কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম একসময় নেমে গিয়েছিল ৩০ টাকায়। পরে ঈদের সময় তা বেড়ে ৪৫-৫০ টাকায় ওঠে। এখন সেই দাম আরও বেড়ে পৌঁছেছে ৬০-৬৫ টাকায়। পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়।
রামপুরা বাজারের বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম একটু একটু করে বাড়ছে। দুই সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।
তেলেও জ্বলছে আগুন
গত মঙ্গলবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। প্রতি লিটার এখন ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটার বোতলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯২২ টাকা (আগে ছিল ৮৫২ টাকা)। খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও লিটারে বেড়ে হয়েছে ১৬৯ টাকা।
হাজীপাড়া বাজারের এক ক্রেতা এক্তাদুল চৌধুরী বলেন, শুধু পেঁয়াজ আর তেলেই খরচ বেড়েছে প্রায় ২০০ টাকা। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য এই চাপ সামলানো খুবই কষ্টকর।
মুরগি-মাংস-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
ঈদের আগে যে মাংসের বাজার চড়া ছিল, সেখানে এখন খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায় (পূর্বে ২১০-২৩০), আর সোনালি জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকায় (পূর্বে ৩০০-৩৩০)। গরুর মাংসের দামও কিছুটা কমেছে—ঈদের আগে ৭৮০-৮০০ টাকা থেকে এখন ৭৫০ টাকায় নেমেছে।
ডিমের বাজারে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন না থাকলেও স্থিতিশীলতা বজায় আছে। ফার্মের ডিম এখনো বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা ডজন দরে।