
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:২৫ এএম
নাফিজ সরাফাতসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম

পদ্মা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত
জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণগ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ রাকিব উদ্দিন মিনহাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার আসামিরা হলেন—পদ্মা ব্যাংক পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ব্যাংকের এসইভিপি সাব্বির মোহাম্মদ সায়েম, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এস.এম মঈনউদ্দীন মোনেম এবং মিসেস ফারহানা মোনেম।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা পদ্মা ব্যাংকের গুলশান কর্পোরেট শাখা থেকে ৫ কোটি টাকার ৬ মাস মেয়াদী ঋণ নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও শর্ত ভঙ্গ করে তা ব্যবসায়িক মূলধনের বদলে অন্যান্য ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ওই অর্থ আত্মসাতের চেষ্টাও করেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/৫১১ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে—ব্যাংক দখল, ঘুষ গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারসহ নানাবিধ আর্থিক অনিয়ম। অভিযোগ রয়েছে, তিনি বিদেশে, বিশেষ করে কানাডায় অর্থ পাচার করে বাড়ি নির্মাণ ও ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক বা দেশের বাইরে রয়েছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও নাফিজ ও তার সহযোগীরা গ্রাম-বাংলা ফার্টিলাইজার কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা ঋণ দেন। এছাড়া জেসিকা ইন্টারন্যাশনালের নামে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ৬০ কোটি টাকা এবং পদ্মা সিকিউরিটিজের মাধ্যমে ১৫০ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
এছাড়াও, ফ্লোরা সফটওয়্যার লিমিটেড থেকে ব্যাংকের জন্য সফটওয়্যার কেনার বিনিময়ে ৮ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একদিনেই ৫ কোটি টাকা ব্যাংকের ভল্ট থেকে উত্তোলনের তথ্যও তদন্তে উঠে এসেছে।
নাফিজ সরাফাতের সময়ে (২০১৮–২০২৩) প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে, যার একটি অংশ ব্যবহার করে সাউথইস্ট ব্যাংকের শেয়ার কেনা হয়েছে। কৌশলে নিজের স্ত্রী ও সহযোগীদের ব্যাংকের পরিচালক পদে বসিয়ে তিনি সাউথইস্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার চেষ্টা করেন।
রাই