Logo
Logo
×

অর্থনীতি

রমজানে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন, ভোক্তাদের বাড়তি খরচের চাপ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০২:১৮ পিএম

রমজানে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ প্রশাসন, ভোক্তাদের বাড়তি খরচের চাপ

ফাইল ছবি

রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগ নিলেও বাজারে এর বাস্তবায়ন তেমন দেখা যাচ্ছে না। ৪ মার্চ খোলা সয়াবিনের দাম নির্ধারণ ও ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও দাম কমেনি। উল্টো, এখনো ভোক্তাদের পকেট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন দুই ধরনের তেলই বিক্রি হচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে।

নারী উদ্যোক্তা আসমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, তিনি দুই লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৪০০ টাকায় কিনেছেন, অথচ বোতলের গায়ে দাম লেখা ৩৫০ টাকা। খোলা সয়াবিনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। নির্ধারিত দামে মিলছে না তেল, বরং সংকটের অজুহাতে বেশি দামে বিক্রি চলছে।

প্রশাসনের অভিযানেও মিলছে না সুফল

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিটারপ্রতি খোলা সয়াবিন ১৬০ টাকায় বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও নগরের বিভিন্ন এলাকায় এখনো ১৮০-১৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, “আমরা অভিযানে গিয়ে দেখছি, দোকানিরা মূল্য তালিকা রাখছেন না এবং নির্ধারিত দামে বিক্রি করছেন না। জরিমানা ও সতর্ক করা হচ্ছে, তবে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা মনে করেন, সারা বছরের মুনাফা রমজানেই করতে হবে। এই প্রবণতা বদলাতে না পারলে ভোক্তারা বারবার একই সমস্যায় পড়বেন।

মুরগির দাম কিছুটা কমলেও মাছ-সবজির দাম স্থিতিশীল

গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ২০ টাকা কমেছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ ও সোনালি মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত।

সবজির বাজারেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। বাজারে প্রতি কেজি—

  • বেগুন ৪০, টমেটো ২০, গাজর ৪০, শিম ৪০, আলু ২০, পটোল ৭০, ঢেঁড়স ৭০ ও বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
  • রুই মাছ ২৮০, কাতলা ৩০০, কাঁচকি ৪৫০, পাবদা ৪৫০, বোয়াল ৬০০, শোল ৭০০ ও রূপচাঁদা ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মুদি দোকানে—

  • প্যাকেট চিনি ১২৫, খোলা চিনি ১২০, ছোলা ১২০, মসুর ডাল (ছোট) ১৩৫, দেশি পেঁয়াজ ৪৫ ও চায়না রসুন ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও কার্যকর ব্যবস্থা দরকার

বাজারে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি। প্রশাসনের অভিযানে সাময়িক দাম কমলেও অভিযান শেষ হলেই ব্যবসায়ীরা আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছেন। ফলে দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল করতে আরও কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: [email protected]

অনুসরণ করুন