২০২৫ সালে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতিতে রেকর্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ পিএম
২০২৫ সালে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগণকে তীব্রভাবে প্রভাবিত করেছে। বছরের শুরুতেই জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশ বা ডাবল ডিজিটে পৌঁছায়। এর ফলে ২০২৪ সালে ১০০ টাকার পণ্য ২০২৫ সালে কিনতে হয়েছে ১১০ টাকায়। ফেব্রুয়ারিতে রোজার সময়ে সয়াবিন তেল, ফল ও সবজির দাম লাফিয়ে বেড়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে তিন দফায় ২০ টাকা বেড়েছে। চাল, আটা, মশুর ডাল, মাছ, মাংস, বেগুনসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ২০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তিন দফায় নীতিসুদ (রেপো) হার বাড়ালেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সবজির মধ্যে বেগুনের দাম ২৪০ টাকা, শিম ৩০০ টাকায় পৌঁছেছে। নতুন আলুর দাম প্রথমে ১৬০ টাকা কেজি হলেও বছর শেষে কমেনি।
চালের বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে খাদ্য মন্ত্রণালয় কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েও দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মিনিকেট চালের কেজি ৮৫ টাকা বিক্রি হয়, মোটা স্বর্ণা চাল ৫২–৫৫ টাকায় থাকায় নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোকে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।
মাছ, মাংস, ডিম, মুরগি ও ফলের দামও বছরের অধিকাংশ সময় চড়া। ইলিশের দাম আড়াই হাজার টাকার কমে মেলেনি; পাঙাশ, কই, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্পের দাম ৫–১৪ শতাংশ বেড়েছে। আপেল, বেদানা, কলার দাম ১২–১৯ শতাংশ বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশে সিন্ডিকেটের কারণে ভোক্তারা সুফল পাননি। বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাজারে কারসাজি করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানো হয়। সরকারের উদ্যোগে কমলেও তা যথেষ্ট নয়। সিপিডির ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাল ও অন্যান্য ভোজ্যপণ্যের বাজারে নজরদারি না থাকায় দাম কমেনি।
২০২৫ সালে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্নআয়ের পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্য করা হলেও বাস্তবে তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।



