Logo
Logo
×

অর্থনীতি

ভারতীয় পেঁয়াজে বাজার আসায় দাম কমেছে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫১ পিএম

ভারতীয় পেঁয়াজে বাজার আসায় দাম কমেছে

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি ও সরবরাহ বাড়ায় দেশের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামের প্রধান পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের কোনো সরবরাহ নেই। পুরো বাজারজুড়েই রয়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ, যার দাম কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বিশেষ করে মাত্র দুই দিনে সাড়ে ৩৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় পাইকারি বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীদের তথ্যে জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর আকারভেদে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকায়। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৭০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, মুড়িকাটা দেশি পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি পরিপক্ব হয়নি। কৃষকেরা এসব পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা চাইছেন। বাজারে আসতে এসব পেঁয়াজের আরও অন্তত ১০ দিন সময় লাগবে।

বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ না থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। পর্যাপ্ত আমদানি ও সরবরাহ থাকায় দামও দ্রুত কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন ৫০টি আমদানি অনুমতি (আইপি) অনুযায়ী দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এতে বাজার স্থিতিশীল না হওয়ায় আমদানি শুরুর আট দিনের মাথায় গত ১৪ ডিসেম্বর দৈনিক আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে অনুযায়ী ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন ৫৭৫টি করে মোট ১ হাজার ১৫০টি আইপি ইস্যু করা হয়। প্রতি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন হিসাবে মোট ৩৪ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির পথ খুলে দেওয়া হয়। এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে পাইকারি বাজারে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, খাতুনগঞ্জে এখন দেশি পেঁয়াজ নেই। ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো এবং চাহিদাও বেশি। সামনে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম আরও সহনীয় থাকবে বলে আশা করছি।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মোবারক হোসাইন বলেন, ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর যে আইপি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পেঁয়াজ আগামী সপ্তাহের মধ্যেই দেশে পৌঁছাবে। এরই মধ্যে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। সামনে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজও আসবে, এতে দাম স্থিতিশীল থাকবে।

তবে খুচরা বাজারে ক্রেতাদের স্বস্তি এখনো পুরোপুরি আসেনি। চট্টগ্রাম মহানগরের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল হালিম বলেন, পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরায় এখনো কেজিতে ১০০ টাকার মতো দিতে হচ্ছে। দাম ৫০–৬০ টাকায় নামলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সরকার আইপি অনুমোদন দেওয়ার পর পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে কেউ যেন সিন্ডিকেট বা কারসাজির মাধ্যমে আবার বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি দরকার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিতে ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে দাম বাড়তে শুরু করে এবং ৬ ডিসেম্বর তা সর্বোচ্চ ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় পৌঁছে যায়। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বড় পরিসরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই বাজারে দাম নিম্নমুখী ধারায় ফিরেছে।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন