ভারত থেকে চাল আমদানিতে মাঝারি ও মোটা চালের দাম কমেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৩ এএম
ভারত থেকে চাল আমদানির প্রভাবে দেশের বাজারে আটাশ ও মোটা চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। তবে চিকন বা মিনিকেট চালের দাম কমেনি—আগের মতোই ৭০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, কয়েক দিনের ব্যবধানে আটার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ২ কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকায় পৌঁছেছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
চালের বাজারে আমদানির প্রভাব
এক মাস ধরে ভারত থেকে চাল আসছে। তবু সাগর, মনজুর, রশিদসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল এখনো ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, আর মোজাম্মেল ও ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের চাল ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে আটাশ ও মোটা চালের বাজারে আমদানির প্রভাব পড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কমেছে দাম। ফলে আটাশ চাল এখন ৫৫–৫৮ টাকা এবং মোটা চাল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা আব্দুল আওয়াল ও টাউন হল বাজারের আ. মান্নান বলেন, আমন ধান এখনো ওঠেনি, কিন্তু ভারত থেকে চাল আসায় মাঝারি ও মোটা চালের দাম কিছুটা কমেছে। মিনিকেটের দাম এক টাকাও কমেনি।
নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, ২ কেজি প্যাকেট আটার দাম ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন, আকিজসহ বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেট আটার দাম বাড়িয়েছে।
মসুর ডালের দাম বেড়ে ১৬০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে; মোটা দানার মসুর ডাল ১২০ টাকা, ছোলা ১৩০ টাকা, সয়াবিন তেল ১ লিটার ১৮৯ টাকা, ৫ লিটার ৯২২ টাকা, আর চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম আগের মতোই স্থির—সাদা ডিম ডজন ১৩০ টাকা, লাল ডিম ১৩৫ টাকা।
শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম কিছুটা উঁচুতে। বেগুন ৮০–১৪০, টমেটো ১২০–১৬০, গাজর ১৩০ এবং শিম ১০০–১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০–৬০ টাকায় বিক্রি হলেও অন্যান্য সবজির দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
গত এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম ১১৫–১২০ টাকায় স্থির রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। আদা ১৬০–২০০, রসুন ১২০–১৮০ এবং আলু ২০–২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও কোনো পরিবর্তন হয়নি। কাচকি মাছ ৫০০–৬০০, চিংড়ি ও বাতাসি ৮০০–১২০০, রুই ও কাতলা ৩৫০–৫৫০, পাবদা ৪৫০–৬০০, আর পাঙাশ, তেলাপিয়া ও সিলভার কার্প ২২০–২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে ক্রেতারা বলছেন, চালের কিছুটা স্বস্তি মিললেও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম আগের মতোই উচ্চ পর্যায়ে রয়ে গেছে।



