রাতে বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধের ঘোষণায় উদ্বেগ ডিসিসিআইর
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:০১ পিএম
পূর্ব ঘোষণা বা প্রস্তুতি ছাড়াই সন্ধ্যা ৬টার পর বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে তীব্র উদ্বেগ জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সংগঠনটির মতে, অবৈধ পণ্য অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে নেওয়া এ উদ্যোগ কার্যত ‘উল্টো ফল’ বয়ে আনতে পারে, যার ফলে বৈধ ব্যবসায়ী ও বাণিজ্য কার্যক্রমই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিবৃতিতে ডিসিসিআই জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দরে হঠাৎ করে বাণিজ্য কার্যক্রম সীমিত করা হলে আমদানি-রফতানির পুরো প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন এবং সরকারের রাজস্ব আদায়েও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সংগঠনটি মনে করে, সন্ধ্যার পর বন্দর বন্ধ রাখলে বিপুল পরিমাণ ট্রাক বন্দরের দুই পাশে আটকে পড়বে। বিশেষ করে পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ‘লিড টাইম’ বেড়ে যাবে, যা বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা কমিয়ে দিতে পারে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২০ লাখ ১১ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে এবং ৪ লাখ ২১ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন পণ্য রফতানি হয়েছে। এত বড় বাণিজ্য কার্যক্রমের ওপর আকস্মিক সিদ্ধান্তের প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ডিসিসিআই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবৈধ পণ্য ও চোরাচালান রোধে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করাই উত্তম হবে। কিন্তু সেই অজুহাতে বৈধ বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।



