ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহী বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর বিশ্ববাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা হারাতে পারে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রফতানি আয়ের পথ সুগম রাখতে বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে।
ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রফতানির ৪৪ শতাংশই গেছে ইইউ’র ২৭ দেশে, যার পরিমাণ প্রায় ২১.৩৮ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে অস্ত্র বাদে সব পণ্যে ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ সুবিধার আওতায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর আরও তিন বছর এই সুবিধা বহাল থাকবে।
তবে এরপর কী হবে—এ প্রশ্নে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ওয়ান ফার্মা ও ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যেই আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে, যাতে শুল্ক হার নির্ধারণ করা যায়।”
সরকার এই উত্তরণকে দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে দেখছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আমরা উন্নয়নশীল দেশের মানদণ্ড পূরণ করেছি। এখন আর ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ইইউ’র সঙ্গে এফটিএ’র সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। আগামী মাসে ইইউ প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফরে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে এফটিএ শুল্কমুক্ত সুবিধা বজায় রাখতে পারে। তবে স্বল্পমেয়াদে জিএসপি প্লাস সুবিধা আদায়ে মনোযোগী হতে হবে। ট্রেস কনসালটিংয়ের সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন জানান, “বাংলাদেশের রফতানি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাক, ইইউ’র মোট আমদানির প্রায় ১৬.৫ শতাংশ। ফলে জিএসপি প্লাস সুবিধা পুরোপুরি পাওয়া কঠিন।”
এদিকে, জাপানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের দিকেও অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সরকার বহুমুখী উদ্যোগের মাধ্যমে রফতানি বাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।



