এলপিজির দাম ১ হাজার টাকায় নামানো জরুরি: উপদেষ্টা ফওজুল কাবির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫২ এএম
দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান। তিনি বলেন, বর্তমানে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১২০০ টাকার বেশি, যা শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীদের জন্য অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল। এর ন্যায্য মূল্য ১ হাজার টাকার মধ্যে থাকা উচিত।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফওজুল কাবির বলেন, এলপিজির মূল চ্যালেঞ্জ এখন দাম। ১২০০ টাকার সিলিন্ডার কোথাও কোথাও ১৪০০–১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। দাম নিয়ন্ত্রণ, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরের কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব ছাড়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোনো স্বাভাবিক সংকট নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত অবস্থার ফল, যা ক্ষমতাসীন কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কারণে তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস লাইনের পরিকল্পনায় চাহিদা উপেক্ষা করায় অবৈধ সংযোগ বেড়েছে এবং গ্যাস সরবরাহে ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, স্থানীয়ভাবে প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট গ্যাস উৎপাদন কমছে, অথচ নতুন গ্যাস সংগ্রহ হচ্ছে মাত্র ৭০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট। এ কারণে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে, যদিও এর উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এলএনজি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া দরকার, তাই স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি মোকাবিলায় এলপিজি একটি কার্যকর বিকল্প হতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।



