Logo
Logo
×

অর্থনীতি

উন্নয়ন অংশীদার আইএমএফ, এডিবি, আইডিবি ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা চলছে : অর্থ উপদেষ্টা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম

উন্নয়ন অংশীদার আইএমএফ, এডিবি, আইডিবি ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কথা চলছে : অর্থ উপদেষ্টা

ছবি-সংগৃহীত

অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন খাতে সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যে আইএমএফ, এডিবি, আইডিবি এবং বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে শিগগিরই দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, বাকিগুলো চলমান প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে চলেছে।’

অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবিষ্যৎ আলোচনায় মূলত আইএমএফ কর্মসূচির আওতায় অগ্রগতি প্রদর্শন ও সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা উপস্থাপনে জোর দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভবিষ্যতে ঋণগ্রহণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বড় সিদ্ধান্ত নেবে।’

সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে তার আসন্ন সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরকার ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর বেধে দেওয়া বৈদেশিক ঋণের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছি, প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, সামগ্রিকভাবে আমরা অগ্রগতি দেখিয়েছি।’

ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের কারণ জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, দেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা ও স্থায়িত্ব বজায় রাখার জন্য এই সীমা নির্ধারন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই সীমা নির্ধারণের যৌক্তিকতা হলো আমাদের উন্নয়ন অংশীদাররা নিশ্চিত হতে চায় যে, আমরা যেন অতিমাত্রায় উচ্চাকাঙ্ক্ষী না হই এবং এমন কোনো প্রকল্প গ্রহণ না করি যা আমাদের পরিশোধ সক্ষমতার বাইরে। ঋণ দ্রুত বেড়ে গেলে অদক্ষতা ও অপচয়ের ঝুঁকি থাকে। তাই তাদের উদ্বেগ বেশ যুক্তিযুক্ত।’

আইএমএফ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক ঋণের সর্বোচ্চ ৮.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা নির্ধারণ করেছে। বৈশ্বিক এই ঋণদাতা সংস্থাটি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এই সীমা নির্ধারণ করেছে।

এই নতুন শর্তটি সম্প্রতি আইএমএফের ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপোর্ট’-এ প্রকাশিত হয়। যেখানে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির মোট ১.৩৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন ও বিতরণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনে ঋণ ব্যবস্থাপনা নিবিড়ভাবে তদারকির জন্য ত্রৈমাসিক সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম তিন মাসে সর্বোচ্চ ১.৯১ বিলিয়ন ডলার, ছয় মাসের মধ্যে ৩.৩৪ বিলিয়ন ডলার, নয় মাস পর ৪.৩৪ বিলিয়ন ডলার এবং পুরো অর্থবছরের জন্য মোট ৮.৪৪ বিলিয়ন ডলারের সীমা নির্ধারিত হয়েছে।

এই ঋণ সীমা ২০২৩ সালে অনুমোদিত আইএমএফের মূল ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অংশ ছিল না।

Swapno

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher

Major(Rtd)Humayan Kabir Ripon

Managing Editor

Email: [email protected]

অনুসরণ করুন